তরমুজের উপকারিতা অপকারিতা-তরমুজের বীজের উপকারিতা

তরমুজ একটা গ্রীষ্মকালীন ফল। গ্রীষ্মকালে শীতল ফল খাওয়া শরীরের জন্য অনেক উপকারী আর এই শীতল ফল গুলির মধ্যে অন্যতম হলো তরমুজ। তাই আমাদের প্রত্যেকেরই গ্রীষ্মকালীন ফল তরমুজের উপকারিতা ও অপকারিতা এবং তরমুজের বীজের উপকারিতা সম্পর্কে সকলের জানা উচিত। এর অনেক পুষ্টি গুনাগুন ও উপকারিতা রয়েছে।

গ্রীষ্মের গরমে আমাদের যতটা সম্ভব শীতল ফল বা পানিযুক্ত ফল খাওয়া উচিত। এটি খেলে গরমে শরীর ঠান্ডা থাকে এবং শরীরে যথেষ্ট পরিমাণ পুষ্টি উপাদান পেয়ে থাকে। তরমুজের প্রায় ৯২ শতাংশ পানি রয়েছে যা গরমের দিনে আমাদের শরীরে পানির চাহিদা পূরণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। চলুন জেনে নেয়া যাক তরমুজের পুষ্টি গুনাগুন ও উপকারিতা অপকারিতা সম্পর্কে।

পেজসূচিপত্র: তরমুজের উপকারিতা সমূহ

তরমুজের পুষ্টি গুনাগুন: 

তরমুজের পুষ্টি গুনাগুন অনেক বেশি এটি আমাদের শরীর সুস্থ রাখতে নানাভাবে সাহায্য করে থাকে। তরমুজের চিনিরপরিমাণ কম থাকায়, ডায়াবেটিসের রোগীরা সহজেই তরমুজ খেতে পারে। তবে তা পরিমাণ মতো খেতে হবে। তরমুজের অনেক পুষ্টিগুনাগুন রয়েছে যার কারণ একে সুপার ফুড ও বলা হয়ে থাকে।

আরো পড়ুন: গাজর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

পুষ্টিবিদ ডক্টর খালেদা ইসলাম বলেন, তরমুজ শরীরে পানির সমতা রক্ষা করে একটা তরমুজের প্রায় ৯১ শতাংশ পানি থাকে। ৭.৫ শতাংশ কার্বোহাইড্রেট, চিনি ১০০ গ্রামের মধ্যে প্রায় ৬ গ্রাম থাকে, ১০০ গ্রামের মধ্যে ৩০ গ্রাম কিলো ক্যালরি থাকে। এছাড়া রয়েছে ভিটামিন সি, ভিটামিন এ যেটা বিটা ক্যারোটিন হিসেবে থাকে, ভিটামিন বি ৬। এছাড়াও তরমুজে রয়েছে আয়রন ক্যালসিয়াম পটাশিয়াম প্রচুর পরিমাণে ভাইবার ও  খাদ্য আশ। তরমুজের পুষ্টি গুনাগুন অনেক। এইসব পুষ্টি ও উপাদান শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে নানাভাবে সাহায্য করে। 

তরমুজের উপকারিতা সমূহ :

তরমুজ একটা গ্রীষ্মকালীন রসালো ফল আর এই রসালো ফল গ্রীষ্মকালে প্রখর রোদ্রে খেলে অনেক উপকারিতা পাওয়া যায়। এই ফলে পর্যাপ্ত পানি রয়েছে একটি তরমুজে প্রায় ৯২ শতাংশ পানি থাকে যা আমাদের শরীরে পানি শূন্য হতে দেয় না। পানির চাহিদা মিটানোর সাথে সাথে এতে বিদ্যমান থাকা  পুষ্টি উপাদান গুলি আমাদের শরীরে নানাভাবে সাহায্য করে থাকে। তাই চলুন জেনে নেয়া যাক তরমুজের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে

পানির চাহিদা: আমাদের শরীরের সতেজ ও সিক্ত রাখতে এবং শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ গুলো ঠিকমতো কাজ করার জন্য প্রয়োজন পড়ে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানির। আর এই পানির যোগান আমরা বিভিন্নভাবে দিতে পারি যেমন রসালো ফল খেয়ে অথবা পানি, খেয়ে ডাবের পানি খেয়ে ইত্যাদি তেমনি একটা অন্যতম ফল হল তরমুজ। তরমুজ রয়েছে ৯২ শতাংশ পানি। তাই তরমুজ নিয়মিত খেলে আমাদের শরীরে পানি চাহিদা পূরণ হয়ে যায়।

রক্ত স্বল্পতা দূর করতে : তরমুজ রক্ত স্বল্পতা দূর করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকেন। কেননা তরমুজের মধ্যে অনেক গুষ্টি ও উপাদান সমুহ বিদ্যমান থাকে আর এই বিদ্যমান উপাদান গুলি রক্ত স্বল্পতা দূর করতে সহায়তা করে। তাই আমাদের শরীরের রক্তস্বল্পতা দূর করতে নিয়মিত তরমুজ খাওয়া উচিত।

হাড় মজবুত করতে : তরমুজের অনেকগুলো পুষ্টি উপাদানের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ক্যালসিয়াম যা এই তরমুজের মধ্যে বিদ্যমান থাকে। তরমুজ খেলে আমাদের শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি থাকলে তা সহজে পূরণ হয়ে যায় এবং এটি হাড় গঠনে ও শক্তিশালী করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাছাড়া নিয়মিত তরমুজ খেলে এর সুফল আপনি বয়ষকালেও পাবেন। তাই হাড় সুস্থ মজবুত রাখেতে নিয়মিত তরমুজ খাওয়া উচিত।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি : তরমুজে থাকা অনেক পুষ্টি গুনাগুন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। তরমুজে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়া তোলে এছাড়াও রয়েছে ভিটামিন বি৬ যা শরীরের অ্যান্টিবডি তৈরি করতে সাহায্য করে। যার ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

হৃদযন্ত্র ভালো রাখতে : হৃদযন্ত্র ভালো রাখেতে তরমুজের ভূমিকা অপরিসীম। তরমুজ হৃদযন্ত্র যথেষ্ট পরিমাণ ভালো রাখতে সাহায্য করে থাকে.। গবেষণায় দেখা গেছে যে তরমুজে যথেষ্ট পরিমাণে লাইক কোপেন রয়েছে যা শরীরের রক্তচাপ কমাতে সহায়তা করে। ফলেরই যন্ত্র ভালো রাখতে তরমুজের ভূমিকা অপরিসীম।

রাতকানা রোগ প্রতিরোধে : তরমুজ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে কারণ এতে অনেক পুষ্টি উপাদান রয়েছে এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হলো মিনারেল ও ভিটামিন, ভিটামিন, ক্যালসিয়াম ও প্রোটিন ইত্যাদি। এইসব উপাদান গুলি শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং চোখের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। ফলে যাদের রাতকান রোগ রয়েছে তারাও তরমুজ খেতে পারেন তাহলে এর থেকে অনেক উপকার পাবেন।

ক্যান্সার প্রতিরোধে : তরমুজে অনেক পুষ্ট উপাদান থাকায় এটি ক্যান্সার প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তরমুজে লাইকোপেন নামে একটি উপাদান রয়েছে যা ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করেন। ফলে তরমুজ খেলে ক্যান্সারের মত মারাত্মক রোগ আপনার শরীরে সহজে বাসা বাঁধতে পারবে না তাই ক্যান্সার প্রতিরোধে নিয়মিত তরমুজ খেতে পারেন।

চুল ও ত্বক ভালো রাখতে: তরমুজের প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ ভিটামিন সি রয়েছে। এগুলো আমাদের শরীরে চুল ও ত্বক ভালো রাখতে সাহায্য করে। তরমুজে থাকা ভিটামিন এ ত্বকে নতুন কোষ গজাতে সাহায্য করে আর ভিটামিন সি ত্বকে কোমল মসৃন এবং চুলকে শক্ত করতে সহায়তা করে থাকে। তাই চুল ও ত্বক ভালো রাখতে তরমুজের ভূমিকা অপরিসীম।

হজমে সহায়ক: তরমুজ অনেক উপকারী ফল তরমুজের প্রচুর পরিমাণে পানি এবং খাদ্য আঁশ রয়েছে। এটি আমাদের পাকস্থলীতে যেয়ে হজমে সাহায্য করে ফলে সহজেই মলত্যাগ স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করুন। ফলে এটি শরীরের জন্য অনেক উপকারী

পুষ্টিকর উপাদান সমৃদ্ধ: তরমুজে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি  উপ উপাদান বিদ্যমান রয়েছে। এতে রয়েছে পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি এর মত উপাদানসমূহ এ সকল উপাদান আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী তরমুজে ক্যালরির পরিমাণ তুলনামূলক কম রয়েছে। তাই নিয়মিত তরমুজ খেলে আমাদের শরীরে পুষ্টিকর উপাদান সমূহ সহজ প্রবেশ করতে পারে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারে।

অ্যাজমা প্রতিরোধক: অ্যাজমা প্রতিরোধে তরমুজ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। তরমুজের প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে আর এই ভিটামিন সি অ্যাজমা প্রতিরোধে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই যারা সদ্য এজমা রোগে আক্রান্ত হয়েছেন তারাও তরমুজ খেতে পারেন। তরমুজ খেলে অ্যাজমা রোগ সহজেই দূর করা যায় ।

তরমুজের অপকারিতা সমূহ:

পেটে সমস্যা: অতিরিক্ত তরমুজ খেলে পেটে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে যেমন পেট ফোলা, ডায়রিয়া, বমি, গ্যাস হওয়া বদহজম ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে। তরমুজ লাইকোপেন সমৃদ্ধ একটি ফল যার কারণে এটি বেশি পরিমাণে খেলে এসব সমস্যা হতে পারে তবে বয়স্কদের ক্ষেত্রে এসব সমস্যাগুলো একটু বেশি পরিমাণে দেখা যায়। যাদের পাচনতন্ত্র দুর্বল তারা এসব সমস্যাগুলো একটু বেশি ফেস করবেন। তাই তারা একটু নিয়ম মেনে তরমুজ খাবেন। 

ডায়াবেটিস সমস্যা: তরমুজ আর একটি মিষ্টি এবং রসালো ফল এতে প্রাকৃতিক চিনি রয়েছে। যা ডায়াবেটি আক্রান্ত রোগীরা খেলে এদের রক্তে চীনের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। তাই যাদের ডায়াবেটিস আছে তারা তরমুজ খাওয়া থেকে বিরত থাকতে পারেন। 

অ্যালার্জি সমস্যা: কিছু কিছু মানুষ আছে যাদের অ্যালার্জি সমস্যা রয়েছে তারা তরমুজ থেকে একটু দূরে থাকতে পারো কারন তরমুজ খেলে এই এলার্জি পরিমাণ বেড়ে যেতে পারেন 

বদহজম: তরমুজ বেশি খেলে এটি হজমে অনেক সমস্যা করে। তরমুজের একটি উপাদান রয়েছে তার নাম হচ্ছে সার্বিডল ।এই উপাদানটি থাকলে বদহজমের সৃষ্টি করে ফলে পাকস্থলিতে  বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয়। ফলে এর প্রভাব পুরো শরীরের উপরে পড়ে যার কারণে তরমুজ সাবধানে খাওয়া উচিত। 

হার্ট অ্যাটাকে সমস্যা: তরমুজ খেলে বিভিন্ন সমস্যা হয় এর মধ্যে হার্টঅ্যাটাক হচ্ছে অন্যতম। তরমুজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম। আর এই পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করলে শরীরের কার্ডিওভাসকুলার এর সমস্যা হতে পারে। ফলে এটি খেলে সহজে হার্টআটাকের সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

ক্যালোরির সমস্যা: তরমুজ বেশি পরিমাণ খেলে যে পরিমাণ ক্যালোরি আমাদের শরীরে থাকা উচিত তা তার চেয়ে অনেক বেশি হয়ে যায় ,ফলে আমাদের  শরীরে অনেক সমস্যা হয়। এই জন্য পরিমাণ মতো তরমুজ খাওয়া উচিত এর বেশি খাওয়া উচিত নয়। 

আরো পড়ুন: গাজর খাওয়ার অপকারিতা

পাকস্থলির সমস্যা: তরমুজে অনেক পুষ্টি গুনাগুনের মধ্যে অন্যতম আরেকটা উপাদান হচ্ছে লাইকোপেন যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর কাজ করে । এটি শরীরে বেশি হয়ে গেলে পেটে অনেক সমস্যা হয় সেই সঙ্গে হতে পারে হজমের সমস্যা। আর হজমে সমস্যা হলে এটি পাকস্থলিতে বিরূপ প্রভাব ফেলে। তাই তরমুজ খেলে যথাযথ নিয়ম মেনে তরমুজ খাওয়া উচিত তা না হলে শরীরের জন্য অনেক উপকারের চেয়ে বেশি ক্ষতি করতে পারে।

তরমুজের বীজ খাওয়ার উপকারিতা সমূহ:

তরমুজ এ যেমন অনেক পুষ্টি  উপাদান বিদ্যমান থাকে ঠিক তেমনি তরমুজের বীজেও অনেক উপকারিতা রয়েছে। তরমুজের বীজ খেলে এটি শরীরে অনেক উপকার করে  থাকে। তরমুজের বীজ আমারা অনেকেই এটি না খেয়ে ফেলে দেই অনেকে খেতে চান না। এর কারণ হলো তরমুজের বীজ খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে না জানা যার কারণে অনেকে এটি না খেয়ে ফেলে দেন। তাই চলুন জেনে নেয়া যাক তরমুজের বীজ খাওয়ার উপকারিতা সমূহ 

তরমুজের বীজে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম থাকে তাই এটি ম্যাগনেসিয়ামের অন্যতম একটা উৎস হিসেবে বিবেচিত। এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে। তাই তরমুজের বীজ হৃদস্পন্দন ঠিক রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। 

তরমুজের বীজে প্রচুর পরিমাণে খাদ্য আঁ শ রয়েছে তাই এটি শরীরের চর্বি এবং হজমে সাহায্য করে থাকেন ফলে পেট পরিষ্কার থাকে এবং শরীরের অনেক উপকার হয়। তাই নিয়মিত তরমুজের বীজ  খাওয়া উচিত। 

তরমুজের বীজ শরীরে ত্বক এবং চুল সুস্থ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। কেননা তরমুজের বীজে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন এবং ফ্যাটি এসিড রয়েছে। এই ফ্যাটিাএসিড শরীরের জন্য অনেক উপকারী। তাই তরমুজের বীজ ফেলে না দিয়ে এটি খাওয়ার অভ্যাস করুন তাহলে এর থেকে ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে। 

তরমুজের বীজ খেলে আমাদের শরীরের অনেক উপকার হয় যেমন শরীরে ত্বক সুন্দর করে এবং মুখে ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে। কেননা এতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম প্রোটিন এবং ফ্যাটি এসিড রয়েছে এইসব উপাদান শরীরের ত্বক মুখে ব্রণ এবং চুলের অনেক উপকার করে থাকে। তাই এসব সমস্যা দূর করতে নিয়মিত তরমুজের বীজ খেতে পারেন।

তরমুজের বিষ খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় কেননা তরমুজের ভিজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে জিংক এবং অন্যান্য পুষ্টিউপাদান যেমন ক্যালসিয়াম প্রোটিন ম্যাগনেসিয়াম এর সকল উপাদান যা শরীরের রোগ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে থাকে। তাই যথা যত নিয়মে তরমুজের বীজ খেতে পারেন এতে আপনার শরীরের অনেক উপকার হবে। 

তরমুজের বীজ খাওয়ার নিয়ম সমূহ: 

তরমুজের বীজের অনেক উপকার রয়েছেন যার জন্য তরমুজের ব্রিজ ফেলে না দিয়ে খেয়ে নিলে বরং অনেক উপকার পাওয়া যায়। অনেকে আছেন তরমুজের বীজ খেতে পারেন না অনেকে ইচ্ছা করে খান না তারা এর উপকারিতা থেকে বঞ্চিত হবেন। কেননা এই বীজের অনেক পুষ্টি গুনাগুন রয়েছে। তাই এটি ফেলে না দিয়েছে কোন ভাবে এটি খেতে পারলে আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকার ।চলুন জেনে নেয়া যাক তরমুজের বীজ খাওয়ার নিয়ম

  • তরমুজের বীজ কাঁচা অবস্থায় চিবিয়ে খাওয়া যায় বা তরমুজের সাথে  চিবিয়ে হওয়া যায় তবে অনেকে আছেন তরমুজের বীজ রান্না করে খেয়ে থাকেন। 
  • তরমুজের বীজ রোদে শুকিয়ে এর সাথে কিছু লবণ এবং অন্যান্য উপাদান মিশে খাওয়া যায় ।
  • তরমুজের বীজ গুড়া করে তা শালাদের সাথে মিশিয়ে অন্যান্য খাবারের সঙ্গে খাওয়া যায়।
  • তরমুজের বীজে রয়েছে ভিটামিন খাদ্য আর ক্যালসিয়াম, প্রোটিন সমৃদ্ধ উপাদান যা শরীরের জন্য অনেক উপকারী

তরমুজের খোসার উপকারিতা সমূহ:

তরমুজের উপকারিতা তো আমরা জানলাম কিন্তু এর খোসাতে ও যে অনেক উপকারিতা রয়েছে তা কি আমরা জানি। তরমুজে যেমন অনেক পুষ্টি উপাদান রয়েছে তেমনি এর পাশাপাশি এর খোসাতে ও অনেক পুষ্টির উপাদান রয়েছে। যেগুলো আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী তাই তরমুজ খাওয়ার পাশাপাশি এর খোসা খাওয়া যায় এবং এর থেকে অনেক উপকার পাওয়া যায়। তাই চলুন জেনে নেয়া যাক তরমুজের খোসার উপকারিতা সমূহ

  • তরমুজে ও তরমুজের বীজে যেমন অনেক পুষ্টি গুণাবল রয়েছে তেমনি এর খোসাতে ও অনেক পুষ্টি গুনাগুন রয়েছে। তাই তরমুজ খাওয়ার পাশাপাশি আপনি তরমুজের খসাও খেতে পারেন। তরমুজের খোসায় থাকে সিট্রোলাইন নামক উপাদান যা আমাদের শরীরের রক্তনালীর প্রসারে সাহায্য করে থাকে। তাই তরমুজের খোসা খেলেও এটি আমাদের শরীরে অনেক উপকার করে থাকে। গবেষণায় দেখা গেছে যে, এটি পেশিতে অক্সিজেন সরবরাহ করতেও সাহায্য করে থাকে।
  • তরমুজের খোসাই বিদ্যমান থাকা উপাদান গুলোর মধ্যে অন্যতম আরেকটা উপাদান হলো লিপিডো বর্ধক অ্যামিনো অ্যাসিড। এটি আমাদের শরীরে অনেক উপকার করে থাকেন । তাই তরমুজের খোসা গেলেও সমস্যা নেই। কিছু গবেষণায় বিজ্ঞানীরা বলছেন যে, তরমুজের সঙ্গে তরমুজের খোসা খোসার কিছু অংশ খেলেও সমস্যা নেই। এটি শরীরের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে 
  • তরমুজের পাশাপাশি তরমুজের খোসায় বিদ্যমান উপাদান সমূহ শরীরের অনেক উপকার করে থাকেন যেমন রক্তের শর্করা কমাতে সাহায্য করে তরমুজের খোসা। আবার তরমুজ  রক্তে কোলেস্টেরলের সমস্যা দূর করতে পারে। তাই যাদের ডায়াবেটিসের সমস্যা আছে তারা তরমুজের খোসাও খেতে পারেন। এর থেকে অনেক উপকার পাবেন। এছাড়াও তরমুজের খোসা শরীরের ফাইবারের মাত্রা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
  • তরমুজ হচ্ছে গ্রীষ্মকালীন রসালো ফল এই ফলের ৯২ শতাংশই পানি থাকেন । তাই এর খোসাও রসালো এবং অনেক পানি বিদ্যমান থাকে। এটি শরীরকে ডিহাইড্রেট থেকে রক্ষা করে । ক্যালরির পরিমাণও অনেক কম থাকে তাই এটি শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করে। তাই তরমুজের পাশাপাশি এর খোসাতেও  অনেক উপকার হবে।

উপসংহার:

গ্রীষ্মকালীন রসালো ফল হলো তরমুজ। গ্রীষ্মকালে খরতাপে তৃষ্ণা মেটাতে তরমুজের ভূমিকা অপরিসীম। তরমুজে রয়েছে ভিটামিন এবং অন্যান্য উপাদান সমুহ যেমন মিনারেল এমাইনো এসিড তারপর হচ্ছে এন্টিঅক্সিডেন্ট, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম ইত্যাদি পুষ্টিকর উপাদান সমূহ। এটি আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকার করে থাকে। তাই আজকের এই আর্টিকেলটি প্রথম থেকে মনোযোগ সহকারে পড়লে তরমুজের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে এবং তরমুজের বীজ খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে সহজেই জানতে পারবেন।

আরোপড়ুন: চিয়া সিড এর উপকারিতাও অপকারিতা

আশা করি আজকের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়েছেন এবং তরমুজ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। এই ধরনের আর্টিকেল আমরা নিয়মিত প্রকাশ করে থাকি তাই আপনি যদি এই ধরনের আর্টিকেল আরো পড়তে চান তাহলে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। এবং পোস্টগুলো ভালো লাগলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন।



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

রয়েল; আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url